Md Ashiqur Rahman NasirMar 144 min readImportant Acts In The Month Of Ramadan | Abdur Razzak Bin Yousuf | Nasir Mediaরমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস, দোয়া কবুলের মাস। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ মাস অন্য সব মাস থেকে অধিক ফযিলতপূর্ণ। এ মাসেই মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমতুল্য। তাই এই মাসে বেশি বেশি আমল করা উচিত।জেনে নিই সেসব আমল সম্পর্কে-১. সিয়াম রাখা: রমজানের চাঁদ দেখা গেলে বা রমজান শুরু হলে মুমিনের প্রধান আমল হলো সিয়াম রাখা। কেননা, ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ সিয়াম, যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’ (সূরা আল-বাক্বারাহ, ১৮৩) রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে পুরো মাস ইমান ও ইখলাসের সঙ্গে সিয়াম রাখবে আল্লাহপাক তার পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ ২. তারাবি সালাত আদায় করা : তারাবি সালাত আদায় করা সুন্নাত। রমজান মাসে এশার সালাতের পর তারাবি সালাত আদায় করা। ৩. ইফতার করা: ইফতার করা রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। ৪. ইফতারের আগে দোয়া করা: ইফতারের আগে দোয়া করা রমজানের আরকেটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। কেননা ওই সময়ের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। ৫. সেহরি করা: ইফতারের মতো সেহরি করাও রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল। ৬. অন্য রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানো: রমজান মাসের অন্যতম একটি সওয়াবের কাজ অন্য রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানোর চেষ্টা করা।৭. তাওবা ও ইস্তিগফার করা : সর্বদা তাওবা করা ওয়াজিব, বিশেষ করে রমজান মাসে তাওবা করা উচিত। এ মাসে তাওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। ’ (জামেউল উসুল, হাদিস : ১৪১০)৮.বেশি বেশি নেক আমল করা : রমজান মাসে অধিক হারে নেক আমলের চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য একান্ত আবশ্যক, বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন রমজানের শেষ দশক এসে যেত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন রাত জাগরণ করতেন, পরিবারবর্গকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিতেন, লুঙ্গি শক্ত ও ভালো করে বেঁধে (প্রস্তুতি গ্রহণ) নিতেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৭৪)অধিক দান-সদকা করা: আল্লাহর রাসূল সা. রমজান মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করতেন। তাই আমাদেরও উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করা। ৯. ওমরা করা: রমজান মাসের বিশেষ আমল হলো সামর্থ্য থাকলে ওমরা করা। ১০. ইতেকাফ করা: রমজান মাসের শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতেকাফ করা গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। In English:The month of Ramadan is the month of fasting, the month of accepting prayers. This month of mercy, forgiveness and salvation is more virtuous than all other months. It is in this month that Almighty Allah revealed the Holy Quran. A Nafal Ibadat of this month is equivalent to an obligatory Ibadat. So more deeds should be done in this month.Let's find out about those acts-1. Fasting: When the moon of Ramadan is seen or when Ramadan begins, the main act of the believer is to fast. Because the third pillar of Islam is fasting, which is obligatory for Muslims. Allah says in the Holy Qur'an, "O you who believe! Fasting has been enjoined upon you, as it was enjoined upon those before you, that you may attain abstinence.' (Surah Al-Baqara, 183) Rasulullah SAW. Ershad said, "Whoever fasts for the whole month of Ramadan with faith and sincerity, Allah will forgive all his past sins." 2. Performing Tarawi Salat: It is Sunnah to perform Tarawi Salat. Performing Tarawih prayer after Isha prayer in the month of Ramadan. 3. Breaking the fast: Breaking the fast is an important act of the month of Ramadan. 4. Praying before Iftar: Praying before Iftar is one of the most important acts of Ramadan. Because Allah accepts the prayers of that time. 5. Sehri: Like Iftar, Sehri is an important act of Ramadan. 6. Breaking the fast of another fasting person: One of the rewards of the month of Ramadan is to try to break the fast of another fasting person.7. Repentance and Istighfar: Repentance is obligatory at all times, especially in the month of Ramadan. Favorable condition of repentance prevails in this month. Satan is disciplined, people are released from hell. The Holy Prophet (PBUH) said, 'Whoever gets the month of Ramadan but could not forgive his sins, let his nose be covered with dust. (Jameul Usul, Hadith: 1410)8. Doing more good deeds: It is absolutely necessary for every Muslim man and woman to try to do more good deeds during the month of Ramadan, especially during the last decade of Ramadan. On the authority of Aisha (RA), she said, "When the last decade of Ramadan came, Rasulullah (SAW) used to wake up at night, wake up the family members from their sleep, tie the lungi tightly and well (take preparations). (Muslim, Hadith: 1174)Giving more charity: Allah's Messenger (peace be upon him). During the month of Ramadan, he gave more charity. So we should also give more charity in the month of Ramadan. 9. Performing Umrah: The special act of the month of Ramadan is to perform Umrah if one can afford it. 10. Performing I'tikaaf: It's important to perform I'tikaf in the mosque during the last 10 days of Ramadan.
রমজান মাস সিয়াম সাধনার মাস, দোয়া কবুলের মাস। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের এ মাস অন্য সব মাস থেকে অধিক ফযিলতপূর্ণ। এ মাসেই মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাজিল করেছেন। এ মাসের একটি নফল ইবাদত একটি ফরজ ইবাদতের সমতুল্য। তাই এই মাসে বেশি বেশি আমল করা উচিত।জেনে নিই সেসব আমল সম্পর্কে-১. সিয়াম রাখা: রমজানের চাঁদ দেখা গেলে বা রমজান শুরু হলে মুমিনের প্রধান আমল হলো সিয়াম রাখা। কেননা, ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ সিয়াম, যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেজগারি অর্জন করতে পার।’ (সূরা আল-বাক্বারাহ, ১৮৩) রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে পুরো মাস ইমান ও ইখলাসের সঙ্গে সিয়াম রাখবে আল্লাহপাক তার পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ ২. তারাবি সালাত আদায় করা : তারাবি সালাত আদায় করা সুন্নাত। রমজান মাসে এশার সালাতের পর তারাবি সালাত আদায় করা। ৩. ইফতার করা: ইফতার করা রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। ৪. ইফতারের আগে দোয়া করা: ইফতারের আগে দোয়া করা রমজানের আরকেটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। কেননা ওই সময়ের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। ৫. সেহরি করা: ইফতারের মতো সেহরি করাও রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমল। ৬. অন্য রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানো: রমজান মাসের অন্যতম একটি সওয়াবের কাজ অন্য রোজাদার ব্যক্তিকে ইফতার করানোর চেষ্টা করা।৭. তাওবা ও ইস্তিগফার করা : সর্বদা তাওবা করা ওয়াজিব, বিশেষ করে রমজান মাসে তাওবা করা উচিত। এ মাসে তাওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি, তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। ’ (জামেউল উসুল, হাদিস : ১৪১০)৮.বেশি বেশি নেক আমল করা : রমজান মাসে অধিক হারে নেক আমলের চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য একান্ত আবশ্যক, বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন রমজানের শেষ দশক এসে যেত, রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন রাত জাগরণ করতেন, পরিবারবর্গকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিতেন, লুঙ্গি শক্ত ও ভালো করে বেঁধে (প্রস্তুতি গ্রহণ) নিতেন। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৭৪)অধিক দান-সদকা করা: আল্লাহর রাসূল সা. রমজান মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করতেন। তাই আমাদেরও উচিত রমজান মাসে বেশি বেশি দান-সদকা করা। ৯. ওমরা করা: রমজান মাসের বিশেষ আমল হলো সামর্থ্য থাকলে ওমরা করা। ১০. ইতেকাফ করা: রমজান মাসের শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতেকাফ করা গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল। In English:The month of Ramadan is the month of fasting, the month of accepting prayers. This month of mercy, forgiveness and salvation is more virtuous than all other months. It is in this month that Almighty Allah revealed the Holy Quran. A Nafal Ibadat of this month is equivalent to an obligatory Ibadat. So more deeds should be done in this month.Let's find out about those acts-1. Fasting: When the moon of Ramadan is seen or when Ramadan begins, the main act of the believer is to fast. Because the third pillar of Islam is fasting, which is obligatory for Muslims. Allah says in the Holy Qur'an, "O you who believe! Fasting has been enjoined upon you, as it was enjoined upon those before you, that you may attain abstinence.' (Surah Al-Baqara, 183) Rasulullah SAW. Ershad said, "Whoever fasts for the whole month of Ramadan with faith and sincerity, Allah will forgive all his past sins." 2. Performing Tarawi Salat: It is Sunnah to perform Tarawi Salat. Performing Tarawih prayer after Isha prayer in the month of Ramadan. 3. Breaking the fast: Breaking the fast is an important act of the month of Ramadan. 4. Praying before Iftar: Praying before Iftar is one of the most important acts of Ramadan. Because Allah accepts the prayers of that time. 5. Sehri: Like Iftar, Sehri is an important act of Ramadan. 6. Breaking the fast of another fasting person: One of the rewards of the month of Ramadan is to try to break the fast of another fasting person.7. Repentance and Istighfar: Repentance is obligatory at all times, especially in the month of Ramadan. Favorable condition of repentance prevails in this month. Satan is disciplined, people are released from hell. The Holy Prophet (PBUH) said, 'Whoever gets the month of Ramadan but could not forgive his sins, let his nose be covered with dust. (Jameul Usul, Hadith: 1410)8. Doing more good deeds: It is absolutely necessary for every Muslim man and woman to try to do more good deeds during the month of Ramadan, especially during the last decade of Ramadan. On the authority of Aisha (RA), she said, "When the last decade of Ramadan came, Rasulullah (SAW) used to wake up at night, wake up the family members from their sleep, tie the lungi tightly and well (take preparations). (Muslim, Hadith: 1174)Giving more charity: Allah's Messenger (peace be upon him). During the month of Ramadan, he gave more charity. So we should also give more charity in the month of Ramadan. 9. Performing Umrah: The special act of the month of Ramadan is to perform Umrah if one can afford it. 10. Performing I'tikaaf: It's important to perform I'tikaf in the mosque during the last 10 days of Ramadan.
تعليقات